হিন্দু পুরাণে ব্রাহ্মরাক্ষস একটি ভৌতিক চরিত্র। কথিত আছে, একজন ব্রাহ্মণ যদি অধার্মিক কাজ করেন এবং মৃত্যুর পর তার যথাযথ অন্ত্যেষ্টি না হয়, তবে তার আত্মা ব্রাহ্মরাক্ষস হয়ে যায়।

ব্রাহ্মরাক্ষসের সৃষ্টি 

বিশ্বাস করা হয়, কোনো ব্রাহ্মণ যদি অবিবাহিত অবস্থায় মারা যান এবং তার শেষকৃত্য ঠিকমতো না হয়, তবে তার আত্মা ব্রাহ্মরাক্ষস রূপে পৃথিবীতে থাকে। এটি প্রাচীন পুরাণ এবং লোককথায় গভীরভাবে বর্ণিত।

গল্পের সূচনা

একদিন আমি এবং আমার বন্ধুরা একটি চায়ের দোকানে ভূত নিয়ে আলোচনা করছিলাম। ঠিক তখনই একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি, প্রকাশ চ্যাটার্জী, আমাদের সামনে তার পারিবারিক ইতিহাসের একটি রহস্যময় ঘটনা শোনালেন।

ঘটনাস্থল

প্রকাশ চ্যাটার্জীর পরিবার প্রায় ৬০ বছর আগে পূর্ব বর্ধমানের একটি গ্রামে বাস করত। সেই গ্রামে ছিল একটি পুরনো বাড়ি এবং তার পাশে ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি শিবমন্দির। মন্দিরের পাশে ছিল একটি বিশাল বেলগাছ, যার সঙ্গে এই ঘটনার যোগসূত্র।

রহস্যময় ঘটনা

একদিন প্রকাশ চ্যাটার্জীর বাবা, যিনি মন্দিরের পূজারি ছিলেন, লক্ষ্য করলেন তার পূজার জন্য আনা দুধ অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। একদিন তিনি দেখলেন একটি ১৩-১৪ বছরের ছেলে পাত্রের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

ব্রাহ্মরাক্ষসের আবির্ভাব 

ছেলেটি নিজেকে ব্রাহ্মরাক্ষস বলে পরিচয় দেয় এবং জানায় তার জীবনের শেষ ইচ্ছা পূরণ করলে সে মুক্তি পাবে। তার ইচ্ছা ছিল গায়ত্রী মন্ত্র শুনতে এবং পূজার দুধের অংশ গ্রহণ করতে।

মুক্তি লাভের গল্প 

প্রকাশ চ্যাটার্জীর বাবা ছেলেটির ইচ্ছা পূরণ করেন। শিবমন্দিরে গায়ত্রী মন্ত্র পাঠের পর ব্রাহ্মরাক্ষস মুক্তি পায়। তার মুক্তি লাভের সময় একটি পুটলি গাছ থেকে পড়ে, যা আজও তাদের পরিবারের ঠাকুরঘরে সংরক্ষিত।